জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক – সার্চ কমিটিতে পাঁচ নাম প্রস্তাব করে নির্বাচনকে অবাধ নিরপেক্ষ এবং অর্থবহ করতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে বেরিয়ে সংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন বিএনএফের প্রেসিডেন্ট এসএম আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিদ্যমান পদ্ধতি অনুসরণ করে সার্চ কমিটি বা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সার্চ কমিটির জন্য ৫ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে দুইজন প্রখ্যাত অধ্যাপক, একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং একজন সাবেক আইজিপি রয়েছেন।
তৃতীয় প্রস্তাব হিসেবে বিএনএফ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অর্থবহ করতে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করেছে জানিয়ে দলটির প্রধান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারেন।
এর আগে বিকেল চারটায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠনে সংলাপে অংশ নিতে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন বিএনএফ এর সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলের অন্যরা হচ্ছেন- বিএনএফের সেক্রেটারি জেনারেল ডক্টর নজরুল ইসলাম আল মারুফ, ভাইস চেয়ারম্যান এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, মো. আতিকুর রহমান নাজিম, মমতাজ সুলতানা আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শফিউল্লাহ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব হাসান আজাদ।
উল্লেখ্য, কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির সময় শেষ হয়ে আসায় নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত ২০ ডিসেম্বর এই সংলাপ শুরু হয়েছে। ইসি গঠনে কোনো আইন না থাকায় সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি নিয়োগ হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নামের প্রস্তাব নিয়ে তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেন। সেই সার্চ কমিটি পরে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নামের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে দেন। সেই নামগুলো থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন। এবার ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে এই নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।