আপনারা সবাই জানেন যে ঝিনাইদহ জেলাতে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৭ জন। মোটামুটি সবাই সুস্থ আছেন এবং এদের মধ্যে নিজ নিজ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন ৩৫জন।
আপনাদের সবার মনেই একটা প্রশ্ন নিশ্চয় ঘুরপাক খাচ্ছে যে উনাদের শারীরিক কোন সমস্যা নেই কেন? উনাদের কোন রোগের লক্ষণ প্রকাশ হয় নি কেন?? উনারা কি নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েই ভালো হয়ে যাবেন???
আজ আমি বিষয়টি পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি। প্রথমে আমাদের একটা টার্ম জানতে হবে আর সেটা হলো “এ্যসিমটোমেটিক/ASYMPTOMATIC ” =”সিমটমলেচ”
আপনি যদি এ্যসিমটোমেটিক /সিমটমলেচ হন তবে আপনি অসুস্থ হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখান না। কিছু ক্ষেত্রে আপনার কোনও রোগ হতে পারে তবে তবুও অসম্পূর্ণ হতে পারেন।
চিকিৎসকেরা যখন কাউকে অসম্পূর্ণ রোগী হওয়ার কথা বলেন, তারা সাধারণত এমন কোনও রোগীর কথা উল্লেখ করেন যা কোনও অসুস্থতার মুখোমুখি হয়েছিলেন বা অসুস্থ ছিলেন তবে তার কোনও লক্ষণ নেই।
এটি চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই অসম্পূর্ণ মানুষগুলি প্রায়শই অসুস্থতা ছড়িয়ে দিতে পারে যদিও তারা অসুস্থ বলে মনে হয় না। এই উপসর্গটির অর্থ ল্যাটিন আব থেকে “না” বা “দূরে”।অর্থাৎ লক্ষন নেই অথবা লক্ষন থেকে দূরে
আমাদের জেলাতে আক্রান্ত সবাই মোটামুটি এ্যসিমটোমেটিক তাই উনাদের কোন শারীরিক কষ্ট নেই এবং কোন লক্ষণ, উপসর্গ নেই। আর তাই উনারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসা প্রোটোকল অনুযায়ী নিজ নিজ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন ।
আমরা ঝিনাইদহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সবসময় উনাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি।আমরা আশাবাদী এবং বিশ্বাস করি উনারা সকলেই চিকিৎসা সেবার নির্দিষ্ট সময় শেষ হলে অবশ্যই সম্পুর্ন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন বীরের বেশে।
আমরা ঝিনাইদহবাসী অপেক্ষায় আছি আপনাদের সকলের সফল প্রত্যাবর্তনের।
ডাঃপ্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ
০১৭১২১৮১১৩২
মেডিক্যাল অফিসার ও মূখপাত্র করোনা সেল
সিভিল সার্জন কার্যালয়
ঝিনাইদহ