আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্টাফ রিপোর্টর-ঝিনাইদহের শালিয়া গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে জনতার হাতে ইউপি সদস্য কবির হোসেন ও প্রবাসীর স্ত্রী দু সন্তানের জননী আটক হয়। গেল রাত ২টার দিকে স্থানীয় প্রতিবেশিরা প্রেমিক জুটিকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের শালিয়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী ও দু সন্তানের জননীর সাথে দীর্ঘ চার বছর আগে থেকেই একই গ্রামের ইউপি সদস্য কবির হোসেনের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর আগেও এ দুজনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে জনতার হাতে একাধিবকার আটক হলে স্থানীয় ভাবে শালিস হয়ে ইউপি সদস্য বেচে যায়। দু-পরিবারেরই সন্তান থাকার কারনে স্থানীয়রা সামাজিকভাবে মিমাংশা করে দেন বলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নরুল ইসলাম জানান।
তিনি আরও জানান, সর্বশেষ গতরাত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিবেশিরা তাদের অনৈতিক কাজের সময় হাতে নাতে আটক করে ইউপি সদস্য কবির হোসেনকে উত্তম মাধ্যমে দেয়। পরে দুজনকেই স্থানীয় কাতলামারি পুলিশ ক্যাম্পে তাদেরকে সোর্পদ করে। এ পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে এলাকার সচেতন মহল জনপ্রতিনিধির এমন নোংরা কাজ ঘটানোর নিন্দা জানিয়ে তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কবির হোসেন জানান, তাকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে ফাসানো হয়েছে। সে নিজ বাড়ি থেকে ঔষধ কেনার জন বের হয়। প্রবাসীর স্ত্রীদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু বখাটে তাকে জোরপুর্বক ওই বাড়িতে ঢুকিয়ে অনৈতিক অপবাদ দেয় বলে তিনি জানান।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহামান জানান, গতরাতে শালিয়া গ্রামের ইউপি সদস্যকবির হোসেন ও প্রবাসীর স্ত্রীর প্ররকীয়া প্রেম ছিলো। তারা দুজনে অনৈতিক কার্যকলাপের ঘটনায় জনতার হাতে আটক হয়। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করলে উভয়কে আদালতে পাঠানো হয়েছে।