ঝিনাইদহ অফিস- ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঢাকা থেকে করেনার উপসর্গ নিয়ে নিরাপত্তা প্রহরী শুকুর আলী (৫০) মৃত্যু হয়েছে। গতরাতে ঢাকা থেকে এসে উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তার শসুড় বাড়ি পৌছালে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সে বাড়িতেই মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল। শুকুর আলী একই উপজেলার চাপরাইল ঘোপ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
অপরদিকে, আজ সকালে শৈলকুপার কেষ্টপুর গ্রামে করেনার লক্ষন নিয়ে পারভিন (৩২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। করোনার সংক্রমনে মারা গেছে কি না সে কারনে স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের দুজনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
স্বজনেরা জানান, বুধবার রাতে তিনি ঢাকা থেকে জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কাশিপুর গ্রামের শশুসড় বাড়িতে আসেন। তিনি আগে থেকেই ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে যশোরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকেই মারা যান। সকালে কালীগঞ্জ হাসপাতাল থেকে কয়েকজন এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। তিনি ঢাকার একটি বে-সরকারী কোম্পানী নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করতেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শামিমা শিরিন জানান, শুকুর আলী করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়ার কারনে তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনাতে পাঠানো হবে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ-আল মামুন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে করেনার লক্ষণ জ¦র শ্বাসকষ্টে নিয়ে শৈলকুপার কেষ্টপুর গ্রামের মিল্টন সরদারের স্ত্রী পারভিন সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলো।
তার কিছুটা শারিরীক উন্নতি হলে পরিবারের লোকজন আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়। তারও নমুনা সংগ্রহ করে খুলনাতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।