ডাঃ প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ- ৫৬ হাজার আক্রান্ত রোগীর উপর চালানো এক জরিপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে ১০০ জন আক্রান্তদের ভিতর ৮০% এর মধ্যে হালকা উপসর্গ দেখা যায় – যেমন জ্বর এবং কাশি। এছাড়াও কারো কারো নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা যেতে পারে।এই সমস্ত আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণ চিকিৎসাতেই সুস্থ হয়ে যাবে যেটা নিজ নিজ বাড়িতে বসে সম্ভব।
১৪% এর মধ্যে তীব্রভাবে উপসর্গ দেখা যায়। তাদের মুলত শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হয় সাথে অনন্য বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমন আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেয়া প্রয়োজন। সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পেলে এদের ভালো হয়ে যাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
৬% আক্রান্ত ব্যাক্তি কঠিন ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের ফুসফুস তীব্র ভাবে আক্রান্ত হয় ও নিউমোনিয়া ডেভেলপ করে। যার ফলে রেসপেরটরি ফেইলউর হয়, সেপটিক শক তৈরি হয় এবং মৃত্যুর সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই সমস্ত পেশেন্টদের আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দরকার হয়।
বয়স্ক ব্যক্তি এবং যাদের কোনো ধরণের অসুস্থতা রয়েছে (অ্যাজমা, ডায়বেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ) তাদের মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।সুতরাং আপনার বাড়িতে এই সমস্ত ব্যাক্তিদের প্রতি একটু বেশি খেয়াল দিন।
সুতরাং বলা যায় আক্রান্ত কাউকে দয়া করে কেউ সমাজের কাছে, পরিবারের মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র বানাবেন না। তাকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ও ত্যাগ করবেন না। তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।আর এই রোগে আক্রান্ত মানেই মৃত্যু না। তাই সচেতন হোন। মানবিক হোন। নিজ নিজ ঘরে থাকুন সাবধানে থাকুন এবং সুস্থ থাকুন ।