বিনোদন ডেস্ক- রুপালি পর্দায় ছিলেন নায়ক। অগণিত ভক্ত-অনুরাগীর হৃদয়েও তাই। সেলুলয়েডের ফ্রেমে বারবার শত্রুকে পরাজিত করা মহানায়ক হেরে গেলেন ক্যানসারের কাছে। দীর্ঘ দুই বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের একটি হাসপাতালে মারা যান বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ঋষি কাপুর।
তবে ক্যানসার ধরা পড়ার পর নিজের প্রতি ভীষণ যত্নশীল ছিলেন শক্তিমান এই অভিনেতা। যোগব্যায়াম করা ও স্ত্রী নীতু সিং কাপুরের সঙ্গে হেঁটে বেড়ানো ছিল তাঁর নিত্যাদিনের রুটিন।
ইন্ডিয়া টিভির অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৮ সালে ক্যানসার ধরা পড়ে ঋষি কাপুরের শরীরে। এর পর থেকে স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি নিয়মিতই সংবাদ শিরোনাম হচ্ছিলেন। প্রায় এক বছরের চিকিৎসাশেষে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি ভারতে ফেরেন।
গত মাসে তাঁর স্ত্রী নীতু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে ঋষি কাপুরকে চলমান লকডাউনে কোয়ারেন্টিনে থাকাকালে যোগব্যায়াম করতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে ছোটপর্দায় যোগাসন দেখে তা অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে ঋষি কাপুরকে।
গতকাল ঋষি কাপুরের পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়—
‘আমাদের প্রিয় ঋষি কাপুর দীর্ঘ দুই বছর লিউকেমিয়ার সঙ্গে লড়াই করে আজ সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে আইএসটি হাসপাতালে মারা গেছেন। চিকিৎসক ও মেডিকেলকর্মীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত সবাইকে আনন্দে রেখেছিলেন তিনি।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ভক্তদের ভালোবাসায় বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাওয়ায় ঋষি কাপুর কৃতজ্ঞ ছিলেন। কান্নায় নয়, তিনি সবার হাসির মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকতে চান। এই ব্যক্তিগত দুঃসময়ের মধ্যেও আমরা জানি, বিশ্ব এখন খুব কঠিন ও সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জন চলাচল ও জনসমাগমের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে। তাঁর সব ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী এবং পরিবারের ঘনিষ্ঠজনকে আমরা অনুরোধ করছি, দয়া করে নিজ ইচ্ছায় আইন মেনে চলুন।’
গতকাল বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে স্যার এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে ঋষি কাপুরের মরদেহ সরাসরি শ্মশানে নেওয়া হয়। লকডাউনের কারণে তাঁর শেষকৃত্যে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ছিল।
শ্মশান চত্বরে ঋষির স্ত্রী নীতু কাপুর, ছেলে রণবীর কাপুর ও তাঁর প্রেমিকা আলিয়া ভাট, ভাই রণধীর ও রাজীব, কারিনা কাপুর খান ও তাঁর স্বামী সাইফ আলি খান, আরমান জৈন, অভিষেক বচ্চন ও শিল্পপতি অনিল আম্বানিকে দেখা গেছে। তবে বাবার শেষকৃত্যে উপস্থিত হতে পারেননি রিধিমা সাহনি। মুম্বাইয়ের চন্দনবতী শ্মশানে ঋষির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।